মেরে ফেলা কোনও সমাধান নয়!
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
একটি অন্যায়কে থামাতে যদি আরেকটি অন্যায়ের আশ্রয় নিতে হয় তবে অবশ্যই সেটিও অন্যায়।আর তাকে থামাতে গেলেও হয়তো আরেকটি অন্যায়ের ভেতর দিয়েই যেতে হবে। কিন্তু এইভাবে কোনভাবেই কিছু থামবে না, বরং বাড়বে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এমন কিছুই বোঝাতে চেয়েছেন সাংবাদিক প্রভাষ আমিন।
স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে দেয়া হল:
গত তিনদিনে ঢাকা, মাগুরা ও কুষ্টিয়ায় র্যাবের সঙ্গে ক্রসফায়ারে ছাত্রলীগ-যুবলীগের তিনজন মারা গেছেন। তাদের একজনের বিরুদ্ধে শিশু হত্যা, একজনের বিরুদ্ধে মায়ের পেটে থাকা শিশুকে গুলি করা এবং একজনের বিরুদ্ধে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের একজনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ ছিল। এই তিন ক্রসফায়ার নিয়ে সরকারি দলের ভেতরেও দারুণ আতঙ্ক আর অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। একটি পক্ষ একে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি হিসেবে দেখছেন। আর আরেকটি পক্ষ বলছেন, তাদের কর্মীকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এটা অন্যায়। আর এই তিন ক্রসফায়ারের ব্যাপারে সুশীল সমাজের মধ্যে একধরনের চাপা উল্লাস দেখা যাচ্ছে। ঠিক কাজ হয়েছে, এই মনোভাব নিয়ে অনেকেই চুপ করে আছেন।
অল্প যে কজন নিয়মিত আমার লেখা ফলো করেন, তারা জানেন, আমি সবসময় ক্রসফায়ারের নামে সব ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিপক্ষে। ক্রসফায়ার হলো আইনের শাসনের অনুপস্থিতির সূচক। তারা যেমন শিশু হত্যা করে, গোলাগুলি করে অন্যায় করেছে, তেমনি বিনা বিচারে তাদের হত্যা করে আরেকটি অন্যায় করা হয়েছে। একটি অন্যায় আরেকটি অন্যায় ডেকে আনে। তাদের অপরাধ মৃত্যুদণ্ডতুল্য ছিল কি না, তাও তো আদালতের বিচার করার কথা। সে সুযোগ তারা পাননি। মাথাব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলার তত্ত্বে আমি কখনোই বিশ্বাসী নই। ছাত্রলীগ-যুবলীগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, মেরে ফেলা কোনও সমাধান নয়।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাফ